অন্তিম প্রশ্ন (আইজ্যাক আসিমভ)
অন্তিম প্রশ্নটি প্রথম বার মানুষের উদয় হয় ২০৬১ সালের ২১-এ মে --- মানুষ তখন সবে আলো দেখা শুরু করেছে। অ্যালেকজান্ডার এবং বারত্রাম মাত্র পাঁচ ডলার বাজি রেখে এই প্রশ্ন করেছিল ভাবতে অবাক লাগে।
অ্যালেক্সান্ডার এদেল এবং বারত্রাম লুপভ ছিল মালটিভ্যাকের দুই অনুগত ভৃত্য। যন্ত্রগণকটির বর্তনী সম্পর্কে অল্প ধারনা তার ছিল। আজ অনেকদিন হয়ে গেছে মালটিভ্যাকের সম্পূর্ণ কাঠামো কোন একজন মানুষের পক্ষে বোঝা অসম্ভব। মালটিভ্যাক নিজেই নিজের তত্ত্বাবধান করত --- করতেই হত তাকে। অ্যালেকজান্ডার এবং বারত্রাম কেবলই উপরিগত ভাবে তার দেখাশোনা করত। কাজের মধ্যে তারা মালটিভ্যাককে উপযুক্ত প্রশ্ন এবং তথ্য জোগাড় করে দিত। বিনিময়ে মালটিভ্যাকের গৌরব প্রাপ্ত হত তাদের। গত দুই-তিন দশক ধরে মালটিভ্যাক কী না করেছে মানবজাতির জন্য! বিদ্যুৎ সংকটে সাহাজ্য করা থেকে চন্দ্রাভিযান সবই সম্ভব হয়েছে তার দৌলতে।
মালটিভ্যাকের দায়িত্ব এড়িয়ে অল্প কিছুক্ষণের ছুটি নিয়ে তারা একদিন দেখা করতে গেল অনতিদূরে এক পাতালঘরে। সঙ্গে তাদের কয়েক বোতল পানীয়ও ছিল।
"ভাবতে আশ্চর্য লাগে না?” বলল অ্যালেকজান্ডার, "এখন আমাদের কাছে অনন্ত শক্তি! আমরা চাইলে পৃথিবীকে গলিয়ে তপ্ত লোহা বিনিয়ে দিতে পারি। “
"ঠিকই, তবে অনন্ত নয়।", পান করতে করতে বলল বারত্রাম।
-
ওহ, সে কথা ঠিক। তবে অন্তত যতদিন আমাদের সূর্য টিকে থাকে।
-
সেটা কিন্তু চিরদিন নয়। তুমি তা ভালই জানো।
-
কিন্তু অন্তত কয়েক সহস্র লক্ষ্য বছর ত বটেই।
-
তাও চিরদিন নয়।
-
অন্তত আমাদের জন্যে তো যথেষ্ট?
-
সে তো কয়লা আর ইউরেনিউম ও।
-
তবে আমরা চাইলে অন্য গ্রহ থেকে যত দরকার তত জ্বালানি আনিয়ে নিতেই পারি। বিশ্বাস না হলে জিজ্ঞেস করে নিও মালটিভ্যাককে।
-
দরকার নেই। সে কথা আমি জানি।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বারত্রাম বললে, "তুমি আন্য একটি সূর্যকে ব্যাবহার করার কথা ভাবছ। তাই না?”
-
না।
-
নিশ্চয় ভাবছ। তুমি যুক্তি বোঝ না, তোমাকে নিয়ে সমস্যাটাই এই।
-
হ্যাঁ। বুঝতে পেরেছি। আমাদের সূর্যের মত আন্য তারারাও একদিন শেষ হয়ে যাবে, এই তো?
-
ঠিক তাই! কিছু সাদা বামন তারা হয়ত খুব বেশি হলে সূর্যের চেয়ে কুড়ি গুন বেশি দিন থাকবে, তবুও সব মিলিয়ে দশ সহস্রের ত্রিঘাত বড়োজোর। আর যাইহোক, এন্ট্রপি বেড়ে চলবেই।
"আমি এন্ট্রপির কথা জানি।", বিরক্ত হয়ে ওঠে অ্যালেক্সান্ডার।
- ছাই জানো।
-তুমি যা জানো তা আমিও জানি।
-
তবে তুমি জানো মুক্ত শক্তি একদিন শেষ হয়ে যাবে।
-
ঠিক। আমি কখন সে কথা অস্বীকার করলাম?
-
তুমিই তো বললে একটু আগে অনন্ত শক্তির কথা।
-
হয়তো আমরা কোন ব্যাবস্থা করতে পারব।
-
তাই বুঝি?
-
হয়ত।
-
অসম্ভব!
-
মালটিভ্যাককে জিজ্ঞেস কর।
-
তুমি কর। পাঁচ ডলার বাজি রাখছি, ও না বলবে।
অ্যালেক্সান্ডার জিজ্ঞাস করার মত মত্ত থাকলেও কোনরকমে নিকটবর্তী একটি টার্মিনালে টাইপ করল, “কিভাবে মহাবিশ্বের এনট্রপির পরিমাণ ব্যাপক ভাবে হ্রাস করা যাবে?”
মালতিভ্যাক কিছুক্ষণ নীরব থেকে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়াজ শুরু করল। একটু পরে টার্মিনালে লেখা ফুটে উঠল, “অর্থপূর্ণ উত্তরের জন্য অপ্রতুল তথ্য।”
বাজি জিততে না পেরে বারত্রাম কিঞ্চিত অপ্রসন্য হল।
পরের দিন সকালে আবার তারা নিজের ব্যাস্ত জীবনে ফিরে গেল। এই ঘটনাটির কথা কেউ মনে রাখল না।
জেরদ, জেরদীন, ও জেরদেত ১ ও ২ একটি পর্দায় নক্ষত্রখচিত মহাবিশ্বটি দেখছিল।
একটি দ্যুতিময় সাদা চাক্তির মত তারার দিকে লক্ষ্য করে জেরদ বললে, “ এই তো এক্স-২৩।”
দুই কন্যা প্রায় লাফিয়ে উঠল, "আমরা প্রায় পৌঁছে গেছি।” এই তাদের প্রথম মহাকাশ শফর।
জেরদীন তাদেরকে চুপ করিয়ে স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে, "তুমি নিশ্চিত?”
- কেন? এই তো মাইক্রভ্যাক-ও তাই বলছে।
মাইক্রভ্যাকের বর্তনী সম্পর্কে কোনই ধারনা ছিল না জেরদের। সে শুধু এতটুকুই জানত যে সে তাদের যানটি চালিয়ে নিয়ে চলেছে এবং তাকে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দেয়।
“জানি না কেন, কিন্তু পৃথিবীর কথা আমার বারবার মনে প্রে যাচ্ছে। “ বলতে বলতে চোখে জল চলে এলো জেরদীনের।
- পীতারের দিব্যি, কেন? কী ছিল ওখানে? এক্স-২৩ তে অনেক সুযোগ সুবিধা পাব আমরা। ওখানে ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ বাসিন্দা থানা গেড়েছে। ভাগ্যিস আমাদের যন্ত্রগণকেরা ওয়ার্ম-হোলের পদার্থবিদ্যার সমাধান করতে পেরেছে।
“জানি, জানি।” বিরক্ত হয়ে উঠল জেরদীন।
"আমাদের মাইক্রোভ্যাক কিন্তু শ্রেষ্ঠ মাইক্রোভ্যাক।” হঠাতই মন্তব্য করে উঠল জেরদেত।
“আমি একমত।” জেরদ বললে। আজকের প্রযুক্তিতে জেরদ আপ্লুত। সে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে যে সে এই প্রজন্মের সদস্য। সে শুনেছে আগে নাকি একেকটি সামান্য যন্ত্রগণক একেকটি বাড়ির সমান জায়গা নিত। এই সব ভাবতে ভাবতে জেরদ একটু উৎফুল্ল হয়ে উঠল।
"এখন আমাদের কাছে অফুরন্ত তারা। এরকম করে মহাবিশ্বের এই অভিযান চালাতেই থাকবে মানুষ।”, জেরদীনের কণ্ঠস্বর।
- চিরদিনের জন্য নয়। সমস্ত নক্ষত্র একদিন শেষ হয়ে যাবে। আর যাইহোক, এন্ট্রপি বেড়ে চলবেই।
“এন্ট্রপি কী, বাবা?”, কন্যারা প্রশ্ন করে।
- এন্ট্রপি অর্থাৎ বিশৃঙ্খলা। এন্ট্রপি বাড়া মানে মুক্ত শক্তির হ্রাস।
এন্ট্রপির বিশেষজ্ঞ নয় জেরদ। সে জানত এন্ট্রপি ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলা বেশ মুশকিল।
-
রোবটের মত নতুন একটা ব্যাটারি প্যাক ব্যাবহার করলেই তো হয়?
-
এই তারা গুলিই আমাদের ব্যাটারি প্যাক। এগুলো শেষ হয়ে গেলে আর কিছু বাকি থাকবে না।
একটু দুঃখিত হয়ে জেরদেত ২ বলে ওঠে, "ওদের শেষ হয়ে যেতে দিও না।”
- চিন্তা করো না। আমি মাইক্রোভ্যাককে জিজ্ঞেস করে নিচ্ছি।
সেই অন্তিম প্রশ্নটি মাইক্রোভ্যাককে জিজ্ঞেস করে সে উত্তরটা প্রিন্ট করতে বললে।
- নাহ। চিন্তার কিছু নেই, মাইক্রোভ্যাক আমাদের ঠিক ব্যাবস্থা করে দেবে।
"অনেক কথা হল। এবার তোমরা শুতে যাও।” -মায়ের আদেশ।
কাগজটি ফেলে দেবার আগে জেরদ আরেকবার কথা গুলি পরল, “ অর্থপূর্ণ উত্তরের জন্য অপ্রতুল তথ্য।”
এক্স-২৩ আর বেশি দুরে নয়।
গ্যালাক্টিক সভার দুই কেরাণী তাদের ওপরওয়ালাদের কাছে কি বিবরণী জমা দেবে তাই আলোচনা করছিল।
-
এইভাবে চলতে থাকলে এই গ্যালাক্সিটা পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে ভরে যাবে।
-
ঠিকই। কিন্তু আমরা এমন নিরাশাবাদি বিবরণী জমা দেব?
দুজনেরই বয়স কুড়ি। সুঠাম দেহ। তাদের কপালে চিন্তার ভাজ পরল।
-
অন্য কিছু জমা দেবার প্রশ্নই আসে না।
-
মহাবিশ্ব অনন্ত। এখন প্রায় কয়েক সহস্র সহস্র গ্যালাক্সি বাকি আছে।
-
তবে অনন্ত নয়। এই তো দশ হাজার বছর আগে আমরা ওয়ার্ম-হোলের পদার্থবিদ্যার সমাধান করতে পেরেছি। তারপর কয়েক কোটি বছর ধরে আরেকটি সৌরজগৎ দখল করেছি। শেষ পনের হাজার বছর ধরে গ্যালাক্সির বেশিরভাগটা ভরে তুলেছি যদিও। এখন প্রতি দশ বছর জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়!
-
তার জন্য আমরা অমরত্বকে ধন্যবাদ দিতে পারি।
-
সে কথা ঠিক। গ্যালাক্টিক এসির অনেক সমাধান করা অঙ্ক ওলট পালট হয়ে গেছে এই অমরত্বের জন্যেই।
-
তাই বলে তুমি নিশ্চয় তোমার জীবন দিতে চাইবে না।
"না।", হেসে বলল এমকিউ-১৭জে। "আমার খুব বেশি বয়স হয়নি। তোমার বয়স কত?”
-
দুশো তেইশ বছর। তোমার?
-
দুশোর একটু কম। -- কিন্তু, যা বলছিলাম। এখন যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, এই গ্যালাক্সিটি পরের বছর ভরে যাবে। তার পরের বছর আরেকটা, তার পরের বছর আরও দুটো। এক হাজার বছরের মধ্যে আমাদের জ্ঞানের পরিধির মধ্যে যত গ্যালাক্সি আছে সব ভরে যাবে।
-
এই প্রসঙ্গে বলি, যাতায়াতের কি হবে? আমরা এক গালাক্সি ভরতি লোক অন্য গালাক্সিতে নিয়ে যেতে কত সৌর-একক ব্যাবাহার করি?
-
তা ঠিক জানি না, কিন্তু প্রতি বছর আমরা দুই সৌর-একক শক্তি খরচ করি।
-
যদিও বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়। আমাদের গ্যালাক্সিতেই একহাজার একক উৎপাদন হয়। আমরা মাত্র দুই একক নিতে পারি।
-
তবুও, এই হারে চললে এক হাজার সৌর-এককও বেশিদিন চলবে না।
-
আমাদের নতুন তারা বানাতে হবে। পুরনো গ্যাস দিয়ে।
-
হয়ত এন্ট্রপির দিক পরিবর্তন করার কোন রাস্তা আছে?
বিজে-২৩এক্স ব্যাপারটাকে সেরকম আমল না দিলেও, এমকিউ-১৭জে পকেট থেকে এসি-র একটি ক্ষুদ্র টার্মিনাল বার করে টেবিলের উপর রাখল। এই দুশো বছরের জীবনে তারা এখনো গ্যালাক্টিক এসির দেখা পায়নি। এই আধুনিক প্রযুক্তি থাকতেও নাকি গ্যালাক্টিক এসির একটি গ্রহের সমান আকার। সে শুনেছে পুরাণ ইংরাজিতে নাকি "এসি" কথার অর্থ "অটোম্যাটিক কম্পুটার" অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রগণক।
টার্মিনালের দিকে তাকিয়ে সে জিজ্ঞেস করল, "এন্ট্রপি কি সত্যি কমানো সম্ভব নয়?”
তার সঙ্গী বললে, "তুমি সত্যিই ও কথা জিজ্ঞেস করবে ভাবতে পারি নি।"
-
কেন?
-
আমরা সবাই জানি এন্ট্রপি কমান যায় না। একটা গাছকে দগ্ধ করে তুমি আবার ছাই থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে চাও?
-
তোমাদের গ্রহে গাছ আছে?
যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর শোনা গেল, “অর্থপূর্ণ উত্তরের জন্য অপ্রতুল তথ্য।”
- দেখেছ!
মুখ চাওয়াচাওয়ি করল দুজন।
আজ মানুষ এক। শুধুমাত্র রূপকার্থে নয়, এখন মানবজাতি বহু সহস্র সহস্র বৎসরের অজস্র অজর অমর দেহ,প্রতিটি সমানভাবে অক্ষয় – কিন্তু তাদের মন একে অপরের সঙ্গে বিলীন হয়ে রয়েছে, এক এবং অভিন্ন হয়ে।
মানুষ বললে, “মহাবিশ্বের শেষ দিন আসন্ন।”
মানুষ নিস্তেজ গ্যালাক্সিগুলির দিকে চেয়ে দেখল। প্রায় প্রত্যেকটা তারাই এখন শ্বেত বামন। মানুষের বানানো কিছু তারাও আর বেশিদিন টিকবে না। "কসমিক এসির পরামর্শ মত চললে আরো কয়েক কোটি বছর আমরা এই শক্তি দিয়ে চালাতে পারব। তবে যাই হোক না কেন মুক্ত শক্তি একদিন শেষ হবেই, এন্ট্রপি বেড়েই চলবে।” ভাবল মানুষ।
"এন্ট্রপি কি কমানো যায় না? কসমিক এসিকেই জিজ্ঞেস করা যাক।”
কসমিক এসি মানুষের চারপাশেই আছে। কিন্তু তার অবস্থান বুঝতে পেরে ওঠার ক্ষমতা মানুষের আর নেই। মানুষের বুদ্ধির বাইরে কসমিক এসির অস্তিত্ব।
“কসমিক এসি, এন্ট্রপি কি উল্টো-পথে চালানো সম্ভব?”
"অর্থপূর্ণ উত্তরের জন্য তথ্য এখনো অপ্রতুল।", কসমিক এসি জানাল।
-
তথ্য সংগ্রহ কর।
-
গত কয়েক সহস্র সহস্র বছর ধরে আমি করছি। তবুও যথেষ্ট তথ্য মেলেনি।
-
কখনো কি তথ্য সংগ্রহ শেষ হবে? নাকি এই সমস্যার সমাধান অসম্ভব?
-
সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
-
তথ্য সংগ্রহ করা কবে শেষ হবে?
-
জানি না, এই উত্তরের জন্যেও যথেষ্ট তথ্য নেই।
-
তুমি কি এই গণনা চালাতে থাকবে?
-
থাকব।
-
বেশ। আমরা অপেক্ষা করছি।
তারা এবং ছায়াপথ ধীরে ধীরে মৃত হয়ে গেল। মহাবিশ্ব ছেয়ে উঠল অন্ধকারে।
এক এক করে মানুষ এসির মধ্যে হারিয়ে যেতে লাগল - অবশ্য তা লাভজনকই হল, ক্ষতি নয়।
এসির মধ্যে চিরতরে বিলীন হয়ে যাবার আগে শেষ একটি মনুষ্য মন প্রশ্ন করল, "এটা কি সত্যি শেষ? এই বিশৃঙ্খল মহাবিশ্বে কি আর কখনো কিছুই ঘটবে না?”
“অর্থপূর্ণ উত্তরের জন্য অপ্রতুল তথ্য।”
শেষ মানুষটিও আর রইল না। কেবল মাত্র মহাকাশে সর্বব্যাপী এসি বিরাজমান রইল।
শুধু মুক্ত শক্তি নয়, তার সাথে স্থান-সময়ের জালের অবসান হয়েছে। কেবল মাত্র এসি ছাড়া চিন্তাশীল কিছুই আর নেই এখন।
এসি আছে কেবল একটি কারণেই, এক মদ্যপ বিজ্ঞানীর বহু পুরাতন প্রশ্নের উত্তর গণনা করার জন্য। এই প্রশ্নটা ছাড়া বাকি সব কিছুর উত্তর দিয়েছিল সে।
সব তথ্য এখন তার কাছে। কেবল এই তথ্যকে বিশ্লেষণ করা বাকি। এই কাজে সময়হীন এক ব্যবধান খরচ হয়ে যায়।
এসি এখন জানে এন্ট্রপির হ্রাস ঘটানোর কি উপায় হতে পারে। উত্তরটা জানানোর মত আর কেউ জীবিত নেই; কিন্তু এসি এই উত্তর প্রদর্শন করেই দেখাবে।
আরেক সময়হীন ব্যবধান ধরে সেই কথা ভাবল এসি। সযত্নে সেই কার্যক্রম পরিকল্পনা করে তুলল সে।
এসির চেতনা আগে যাকে মহাবিশ্ব বলা হত তাকে গ্রাস করল।
এবং এসি বলল, "আলোকিত হোক এই মহাশূন্য!”
আলোয় ভরে উঠল জগত...